প্রচণ্ড গরমে জুলকারের অস্থিরতার খোঁজ নিয়েছেন দিয়া মির্জা

 


প্রচণ্ড গরমে একনিষ্ঠ বন্ধু জুলকার নাঈনের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়েছেন বলিউডঅভিনেত্রী দিয়া মির্জা। কারণ প্রচণ্ড গরম দেখা দিলেই জুলকারের অস্থিরতা খানিক বেড়ে যায়।  

সেটা দিয়ার আগে থেকেই জানা। ২০১৯ সালের পরিবেশ বিষয়ক এক সেমিনারে দুজনে এক প্যানেলে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ভারতের রাজস্থানে তখন গ্রীষ্মকাল। প্রচণ্ড গরমে জুলকারের অসুস্থতা দেখা দেয়। সে সময় দিয়া মির্জা খুব কাছ থেকে জুলকারের সেবাযত্ন করেন।

ভারতসহ বাংলাদেশের সব অঞ্চলেই চলছে তাপপ্রবাহ। তাপমাত্রা বাড়তে বাড়তে তা ভেঙ্গেছে গত ৭ বছরের রেকর্ড। প্রচণ্ড গরমে অস্থির জনজীবন।

এ জন্যই প্রচণ্ড গরমে জুলকারের শারীরিক এবং মানসিক অবস্থার খোঁজ নিয়েছেন দিয়া মির্জা।

হোয়াটস্‌অ্যাপ কথোপকথনে দুই বন্ধু দুজনের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন।

কথোপকথনের এক পর্যায়ে দিয়া মির্জা জুলকারকে এই গরমে বেশি করে কচি ডাব, তরমুজ, আনারস, এবং ফ্রেশ জুস খাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন।

এদিকে জুলকার নাঈন ভারতের করোনা পরিস্থিতিতে অন্তঃসত্ত্বা দিয়াকে সাবধানতা অবলম্বন করে চলার অনুরোধ করেছেন।  

বিয়ের পরও দিয়া মির্জার সঙ্গে জুলকারের বন্ধুত্ব যেন চিরঅটুট।     

উল্লেখ্য ২০১৪ সালে সাহিল সংঘের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর জুলকারের সঙ্গে দিয়া মির্জার ভালো বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। সেই বন্ধুত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে।

জুলকারের সঙ্গে দিয়া মির্জার বন্ধুত্বের কারণ ছিল অন্য। দুজনেই পরিবেশ বিষয়ক এডভোকেসিতে নিয়োজিত। দুজনেই নিজ নিজ দেশের হয়ে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজ করছেন।

জুলকার দিয়া মির্জাকে ভালবাসেন এমনটাই সামাজিক মাধ্যমে প্রচলিত। এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে জুলকার বলেন, সামাজিক মাধ্যমে যা প্রচলিত সেটা মূলত সঠিক নয়। দিয়া মির্জার প্রতি তাঁর যথেষ্ট সম্মান রয়েছে। এমনকি এক বিষয়ে কাজের সুযোগ হওয়াতে দিয়ার বিয়ের পিঁড়িতে বসার ঘটনাটি অজানা ছিল না।      

তবে ১৫ ফেব্রুয়ারি অনেকটা চুপিসারেই ব্যবসায়ী বৈভব রেখির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন বলিউড অভিনেত্রী দিয়া মির্জা।

দুই পরিবারের ঘনিষ্ঠদের নিয়ে মুম্বাইয়ে এই শুভ কাজটি তারা সেরেছেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, এনডিটিভি

জুলকার নাঈন সম্পর্কে বিস্তারিত

জুলকার নাঈন একজন ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক। তাঁর পোর্টফোলিও পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত রিপোর্ট এবং আর্টিকেল সমৃদ্ধ। তিনি মূলত জলবায়ু পরিবর্তনজনিত খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং অভিবাসন বিষয়ে রিপোর্ট করে থাকেন।

জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ দেশের একজন নাগরিক হিসাবে তিনি জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে অধিক রিপোর্ট প্রকাশে আগ্রহী। তাঁর ক্লাইমেট ট্র্যাকারের সঙ্গে একত্রে জন্য বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত নারীদের উপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং ক্লাইমেট ফাইন্যান্স নিয়ে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে।

তিনি ক্লাইমেট ট্র্যাকার দক্ষিণ এশিয়া নেটওয়ার্কে জড়িত। তরুণদের পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সাংবাদিক সৃষ্টি করাই ক্লাইমেট ট্র্যাকারের লক্ষ্য।

তিনি ক্লাইমেট ট্র্যাকারের একজন দক্ষিণ এশিয়া ফেলো। তিনি নির্ধারিত একটি এসাইনম্যান্টের অধীনে বিভিন্ন মিডিয়াতে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেন।

এছাড়া, জুলকার ক্লাইমেট ট্র্যাকারের ট্রেইন দ্যা ট্রেনার সার্টিফাইড একজন সাংবাদিক যিনি যে কোনও জলবায়ু পরিবর্তন সাংবাদিকতার কোর্সটি ডিজাইন করতে পারেন।

জুলকার নাঈন অন্যান্য ক্লাইমেট ট্র্যাকার কর্মীদের সহায়তায় কোর্স তৈরি করেছেন। একজন তরুণ ক্লাইমেট এডভোকেট হিসাবে তাঁর লক্ষ্য জলবায়ু পরিবর্তনের জ্ঞান সমাজে ছড়িয়ে দেয়া।

জুলকার কমিউনিকেশন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী। তিনি ইউনিভার্সিটি অফ লিবারেল আর্টস থেকে মিডিয়া স্টাডিজ এবং সাংবাদিকতায় স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন।

Comments

Popular posts from this blog

Servo Lubricants In Bangladesh